Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাত্র তিন দিনেই বেহাল দশা ৪৬ লাখ টাকার রাস্তার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৯ PM
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৯ PM

bdmorning Image Preview


এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য ব্যয় হয় ৪৬ লাখ টাকা। কিন্তু নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শেষের তিনদিনের মাথায় হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার সড়ক এটি। সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। নিম্নমানের ইট, বালু এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এলাকাবাসী এতে বাধা দিলেও উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রাখেন ঠিকাদার। ফলে তিনদিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইআরআইডিপি-২) আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ২৮ মে’র মধ্যে সড়ক পাকাকরণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঠিকাদার নোমান আহমেদ। পরবর্তীতে বড়লেখা উপজেলার ঠিকাদার কামাল হোসেনকে বাকি কাজ শেষ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। চলতি বছরের ১০ অক্টোবর গৌরীপুর এলাকায় ১৯৬ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। গত রোববার (১৩ অক্টোবর) ওই কাজ সম্পন্ন করেন ঠিকাদার কামাল হোসেন।

জানা যায়, কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা। সেখানে তা ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার হয়েছে। বিটুমিনও কম দেয়া হয়েছে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান।

জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাছুম রেজা বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গৌরীপুরে যাই। সোমবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরি।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ঠিকাদার কামাল হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সড়কের কাজে ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রধান জহির মিয়া বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি আমরা।

এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার। তবে স্থানভেদে এক-দুই মিলিমিটার এদিক-সেদিক হতে পারে।

Bootstrap Image Preview