বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নেয় আবরার ফায়াজ। সে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভাইয়ের ঘটনার পর আবরার ফায়াজ ঢাকায় পড়তে অনীহা প্রকাশ করে। সে সাংবাদিকদের জানায়, ভাইকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়েছে। ভাই তার সব বিষয়ে খেয়াল রাখত। ভাই নেই, তাই সেও ঢাকায় থাকবে না।
প্রসঙ্গত, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১২ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বুয়েটসহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও কর্মসূচি পালন করছে।