Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরিবারের লোকেরাই বীভৎসভাবে হত্যা করে শিশু তুহিনকে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৫ PM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৫ PM

bdmorning Image Preview


পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া। রোববার রাতে বীভৎস কায়দায় খুন করা হয় তাকে। সোমবার দিনভর যারাই ঘটনাটি শুনেছেন তাদের মনেই নাড়া দিয়েছে শিশুটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে খবরটি। কারা এই শিশুটিকে এভাবে বীভৎস কায়দায় খুন করেছে তা নিয়ে সবার ভেতরে ছিল কৌতূহল।

তবে প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁৎকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি।

সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু তারা বলবেন না। ঘটনার পরপর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ছয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করবে সংস্থাটি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জের। যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত আছেন।’

এর আগে এই ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

রোববার মধ্যরাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছে ঝুলে ছিল শিশু তুহিনের লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিলে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয় শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে। সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছিল। তারা হলেন ছালাতুল ও সোলেমান। তারা সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা।

ঘটনাটি সুনামগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে জড়িত যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।

Bootstrap Image Preview