Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভর্তি পরীক্ষায় আবরার হত্যার প্রভাব পড়েনি: বুয়েট ভিসি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৫৫ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদের আন্দোলন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই লিখিত পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বুয়েট ভিসি এ কথা জানান।

৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। আমাদের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি করেছি। আশা করি, দ্রুতই সংকট নিরসন হবে।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগ নেতাদের কিছু কক্ষ সিলগালা ও অবৈধ ছাত্রদের হল থেকে বের করে দিয়েছে বুয়েট। এ বিষয়ে ভিসি জানান, বুয়েটের হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আশা করি, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। কারণ তাদের দাবির বিষয়ে আমরা একমত।

আবরার হত্যার বিচারের বিষয়ে ভিসি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে আমরা আন্তরিক। সরকারও বিচারের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হবে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রবিবার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি জুড়ে দেন। তাদের দাবি মানা না হলে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে শুরু করলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করে আন্দোলনকারীরা।

Bootstrap Image Preview