Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৌদি-ইরান উত্তেজনা মধ্যস্ততায় তেহরানের পথে ইমরান খান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:০০ PM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:০০ PM

bdmorning Image Preview


সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে তেহরান যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ (রবিবার) তেহরানে পৌঁছবেন তিনি।

শনিবার রাতেই ইরান সফর শুরু করার কথা ছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে রোববার সকালে তেহরানে যাচ্ছেন তিনি।

এদিকে আজ তেহরান যাওয়ার কথা থাকলেও এখনই রিয়াদ যাচ্ছেন না ইমরান খান।

শুক্রবার পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, উপসাগরীয় উত্তেজনা কমানোর চেষ্টায় ইরান সফরে গেলেও এ ইস্যুতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইরানের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তেহরান থেকে রোববারই দেশে ফিরবেন তিনি। সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলের চিরবৈরী ও প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দেশের মধ্যে টান টান উত্তেজনা চলছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল।

এ ঘটনার জন্য ইরানকে হামলার জন্য দায়ী করে সৌদি আরব। এর পরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছতে থাকে।

বাকিক ও খরিচ তেল স্থাপনায় বিপর্যয়কর হামলার দুই সপ্তাহ পর সব জায়গায় একটি প্রশ্ন ভাসছে- প্রতিশোধ নিতে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবছে? দুই মিত্রই এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে শাস্তি পেতে হবে বলেই প্রচার চালিয়ে আসছে।

ইরানকে দোষী প্রমাণিত করার পর তারা দেশটিকে কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলা উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা করার ঘোষণা দেন ইমরান খান।

গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে ইমরান জানান, এ বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে রোববার তেহরানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

রোববার এ দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকে উপসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করবেন ইমরান খান। দুই দেশের বৈরিতা প্রশমনে কেন শুধু তেহরানে যাচ্ছেন ইমরান খান সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা।

তারা বলেছেন, সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সৌদি আরব সফর করবেন। সে লক্ষ্যে পুতিনকে নিয়েই রিয়াদে যত সব ব্যস্ততা। তাই এ মুহূর্তে সৌদি আরবে যাচ্ছেন না ইমরান খান।

তবে সময় ও সুযোগ মিললে আগামী সপ্তাহে সৌদি সফরে যেতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, ইরান সফরে উপসাগরীয় বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খানের এই উদ্যোগ বিষয়ে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পাকিস্তানের চেষ্টা বলে দিচ্ছে, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পা রাখার আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ইমরান খান। পরবর্তী সময়ে তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে ট্রাম্প ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে অনুরোধ করেছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ও ইরান পরোক্ষভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তান ও ইরাককে আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ।

Bootstrap Image Preview