বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ল (বুয়েট) থেকে সকল ধরণের রাজনীতিসহ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুয়েটে উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা সমাধান নয় মন্তব্য করে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, এতে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি না থাকলে সেখানে অবশ্যই স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে সেখানে স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ঘটতে পারে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা থাকতে পারে। তবে তার সমাধানের পথ খুঁজে বের করে কাজ করলে ভালো হয়।’
প্রসঙ্গত, বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে রবিবার রাতে তাকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটান বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন