Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চেয়ারম্যানকে ছাড়াই যুবলীগের রুদ্ধদ্বার বৈঠক, যা বললেন নেতারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৭ PM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে যুবলীগের নীতি নির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরামের এ সভা হয়। জাতীয় কংগ্রেসের আগে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে সংগঠনটির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় উপস্থিত ছিলেন না যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। তবে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই এ বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেন প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।

প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবি এম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দীপু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।

বৈঠক শেষে দীপু সাংবাদিকদের বলেন, সভা ডাকার অনুমতি চেয়ারম্যান দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশই এই সভা হয়েছে। তবে তিনি কেন আসেননি সে বিষয়টি জানা নেই। হয়তো অসুস্থতার কারণে।

যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে সভাপতিত্ব কে করবেন জানতে চাইলে অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। আজ সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করেছেন। চেয়ারম্যান একটি বড় পোস্ট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করব।’

সভায় অংশ নেয়া যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সভাশেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগের দফতর সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় নেতা বনে যান। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুর্নীতি-মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে আড়ালে চলে যান বিতর্কিত আনিস।

সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেয়া হয়।

সরকারের চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমান গ্রেফতারের পর ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তলব করা হয় তার ব্যাংক হিসাব। এর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview