Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমি অন্যায় করিনি, পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না: বুয়েট ভিসি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৩২ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৩২ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, 'আমি কোনো অন্যায় করিনি, তাই পদত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না।'

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতের পর এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'ঘটনার পর হল প্রভোস্টরা রাত ৩টার দিকে খবরটি জানার পর তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি।'

বুয়েটে আবরারের জানাজায় উপস্থিত না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রভোস্টসহ সবাইকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তাদেরকে বের করতে না পারায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো জানাতে চেষ্টা করি, তাই আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। শিক্ষামন্ত্রী মুম্বাই থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলতে বাইরে গিয়েছিলাম। তারপর যখন আমি ফিরে আসি তখন দেখি, জানাজা শেষ হয়ে গেছে।'

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আজকে শিক্ষামন্ত্রী আসার কথা, তিনি ফিরে আসলেই তার সঙ্গে বসা হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করেছি। আশা করি, সহজেই এসব সমস্যার সমাধান হবে।'

বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন বুয়েট উপাচার্য।

কবর জিয়ারতের আগে উপাচার্য আবরারের দাদা, বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদেরকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এদিকে আবরারের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হন ভিসি।

এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী তার সঙ্গে ছিলেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Bootstrap Image Preview