নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় আবরার ফাহাদের বাড়িতে যান বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। আর এতে আবরারের ছোট ভাইসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবরারের ভাই ফাইয়াজ। তিনি লিখেছেন, আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাযা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? বিচার চাই। আমি বিচার চাই। নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। বাবা মা কষ্ট একবারে পাবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ। এর জেরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।
তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।