বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের অমানবিক ঘটনায় জড়িত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দোষীদের প্রত্যেককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, উপাচার্য হলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। ঘটনার পরপরই বুয়েট উপাচার্যের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন। গণভবনে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠক করেন। আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে-সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ছাত্রলীগকে সংবাদ সম্মেলন করার নির্দেশ দেন।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা।
গণভবনের সূত্র জানায়, রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।