Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপি কার্যালয়ের গলিতে আগুন, ভেতরে রিজভীসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪০ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪০ PM

bdmorning Image Preview


বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিএনপির প্রধান কার্যালয়। একই সঙ্গে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নয়াপল্টন ভিআইপি রোডে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পাশে হোটেল ভিক্টোরির মাঝের গলিতে বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন লাগে। আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই বিএনপি কার্যালয়ের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে আগুন পুরোপুরি নেভায়।

এ ঘটনার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক মুনীর হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, কয়েকজন অফিস সহকারীসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। 

হঠাৎ করে পাশের গলির ভেতর থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখে তারা সবাই বাইরে বের হয়ে আসেন। পাশের হোটেল ভিক্টোরি থেকে পাঁচটি ফায়ার স্টিংগুইসার (আগুন নেভানোর গ্যাস) এনে বিএনপি অফিসের কর্মীরা প্রাথমিকভাবে আগুন কমিয়ে ফেলেন।

এসময় অফিস সহকারী আবু সাঈদ আজাদ, শামীম হোসেনসহ অনেকেই পানি ও গ্যাস দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আবু সাঈদ আজাদ ও শামীম হোসেন বলেন, আমরা নিজেরাই পানি ও গ্যাস দিয়ে আগুন কমিয়েছি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে নিয়ন্ত্রণে নেয়। বড় ঘটনা ঘটতে পারতো, আমরা অল্পে জন্য রক্ষা পেয়েছি। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আল্লাহ বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন। আমাদের ভবন ও পাশের ভিক্টোরি হোটেলের মাঝে যে সামান্য গলির মতো আছে সেখানেই আগুনটি লেগেছিল। তবে সেখানে কীভাবে আগুন লাগলো তা বলতে পারবো না। 

তিনি বলেন, আমিতো দীর্ঘ দেড় বছর এখানেই আছি। গত দু’দিন জ্বরে ভুগছি। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে হঠাৎ বাইরে থেকে একজন সাংবাদিক আমাকে ফোনে জানান যে আগুন লেগেছে, আপনি বাইরে বের হয়ে আসেন। আমি তাৎক্ষণিক বের হয়ে যাই। বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেটা হতে পারতো। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি পাশেই আমার অফিসে ছিলাম। আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। শুনেছি ইলেক্ট্রিক তার থেকে লেগেছে। তবে কীভাবে কি হয়েছে বিস্তারিত বলতে পারবো না। নাশকতা কিনা তাও বলতে পারবো না। তবে বড় ঘটনা ঘটতে পারতো। সেটা থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শুনলাম মহাসচিবের রুমের এসি থেকে আগুন লেগেছিল।

তিনি বলেন, মহাসচিব অসুস্থ। তিনি দেশের বাইরে। এসময় তার রুমেতো কারও যাওয়ার কথা না। তাহলে তার এসি থেকে কীভাবে আগুন লাগলো, বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে যারা কার্যালয়ে অবস্থান করেন তারা ভালো বলতে পারবেন।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, দু’টি ভবনের মাঝে সামান্য জায়গা আছে। সেখানে কোনো মানুষ প্রবেশ করতে হলে সিঁড়ি লাগিয়ে ঢুকতে হয়। নাশকতার জন্য কেউ করেছে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ওই গলির মধ্যে ডিশ, বিদ্যুৎ, টেলিফোনের প্রচুর তার দেখা যায়। ভেতরে অনেক ময়লাও ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বলেন, বিএনপি অফিসে আগুন লেগেছে এমন খবর পেয়ে আমাদের দু’টি ইউনিট সেখানে যায়। বিএনপি অফিস ও হোটেল ভিক্টোরির মাঝে যে খালি জায়গা আছে সেখানে আগুন লেগেছিল। আমাদের ফায়ারকর্মীরা গিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।

Bootstrap Image Preview