বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়।
রবিবার দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।
তিনি বলেন, ‘রাতে খবর পাওয়ার পরই আমি সেখানে (ঘটনাস্থল) যাই। কয়েকজন তাকে ওই রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। যারা মারধরে জড়িত তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও কষ্টের। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপরদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই রুমে চারজন থাকতেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতা।
ওই হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই রুমে সবসময় মদ্যপান চলত। তারা রাতে মদ খেয়ে চিৎকার করতেন। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে গালিও দিতেন। আশপাশের রুমে যারা থাকেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারতেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, এটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। এমনকি তারা যে কাউকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করতেন।