বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দেশের সব টিভি চ্যানেলের বাণিজ্যিক সম্প্রচারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সোনারগাঁ হোটেলে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এর উদ্বোধন ঘোষাণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান থেকে সুইচ চেপে একযোগে এই সম্প্রচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। এর মাধ্যমে দেশের সম্প্রচার শিল্প এক নতুন যুগে প্রবেশ করলো। কারণ, এর ফলে বিদেশি স্যাটেলাইট সংস্থাগুলোকে প্রদত্ত বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে সক্ষম হবে দেশীয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে প্রযুক্তির নতুন ধাপে নেয়ার আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ জন্য মহাকাশ গবেষণা যেন শুরু হয় তার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই মহাকাশ গবেষণা করে। মানুষ চাঁদে যাবার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখা তো আমাদের কোনো অপরাধ না, আমরা কেনো দেখবো না। সেই মহাকাশ গবেষণার ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে মহাকাশ বিষয়ক উচ্চশিক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি লালমনিরহাটে এটি হচ্ছে।’
বর্তমান সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ তৃণমূল মানুষের উন্নয়নের জন্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এতোগুলো টেলিভিশন চলবে এগুলোর দেখার জন্য সক্ষমতাও তো অর্জন করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নত না হলে টেলিভিশন দেখবে কীভাবে ? তাই অর্থনৈতিকভাবে গ্রামের মানুষ যেন সক্ষমতা অর্জন করে সেই সুযোগই সৃষ্টি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ও ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হলো।
ডাক ও টেলিয়োগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এর চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী।