Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জের সেই উপাচার্য নাসির উদ্দিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:১৯ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:১৯ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে সাদা কাগজে লিখিত পদত্যাগপত্রটি জমা দেন। পরে সেটি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ব্যস্ত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব পদত্যাগপত্রটি সেখানে নিয়ে যান এবং মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ভিসি মৌখিকভাবে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'তিনি (ভিসি) আর থাকতে চাচ্ছেন না। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পর্যালোচনা করছি।'

এর আগে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি।

ইউজিসির পাঁচ সদস্যের গঠিত কমিটি ভিসির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি গতকাল সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ভিসির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে যোগ্য নয়, তাই তাকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করে এই কমিটি।

তদন্ত কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে সকলের সঙ্গে কথা বলে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেটি ইতোমধ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি, এবং তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ভালো কিছু আমরা দেখিনি। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেটি মঙ্গলজনক হবে সেটিই আমরা সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে শক্ত প্রতিবেদনই আমরা দিয়েছি। কারণ আমাদের কাছে মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।'

গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়ার পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইউজিসি সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. দিল আফরোজ বেগম, ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক কামাল হোসেন এবং একই বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।

কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরেজমিনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে দুইদিন অবস্থান করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঢাকা ফিরে এসে ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ইউজিসির কাছে জমা দেন।

Bootstrap Image Preview