Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পদত্যাগ নয়, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেই আগ্রহী জনসন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM

bdmorning Image Preview


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবির সিদ্ধান্তকে আদালত অবৈধ ঘোষণা করার পর গতকাল হাউস অব কমন্সে ফেরেন ব্রিটিশ এমপিরা। এই রায় জনসনের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ। মঙ্গলবারের রায়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

রায় ঘোষণার সময় জনসন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে ছিলেন। তিনি গতকাল ব্রিটেনের স্থানীয় সময় সকালে লন্ডনে ফেরেন। রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জনসন বলেন, তিনি এর সঙ্গে তীব্রভাবে দ্বিমত পোষণ করেন। তবে আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

গতকালের অধিবেশনে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বুধবারের জন্য নির্ধারিত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব গতকাল না হলেও অনির্ধারিত প্রশ্নের জবাব জনসনকে দিতে হয়েছে। সেখানে এমপিদের মূল প্রশ্নই ছিল পার্লামেন্টের অধিবেশন পাঁচ সপ্তাহ স্থগিত করার বৈধতা নিয়ে। গতকাল দিন শেষে তাঁর পার্লামেন্টে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবারের রায়ের পর হাউসের স্পিকার জন বেরকো তাত্ক্ষণিকভাবে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার সময় অধিবেশনের ডাক দেন। গতকাল উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসেরও অধিবেশন বসার কথা ছিল।

তবে এই রায় ঘোষণার পর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বেশ ভালো রকমই ধাক্কা খেল। ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে একাধিকবার একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে গিয়ে পরাজয়ের পর পার্লামেন্ট পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাজি করান জনসন। এর পরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। গত মঙ্গলবার আদালতের ১১ জন বিচারক সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট ব্রেন্ডা হালে বলেন, পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি রাখতে রানিকে পরামর্শ দেওয়া আইনসম্মত হয়নি। এ রায়ের ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, সরকার সরল বিশ্বাস থেকে কাজ করেছে। তবে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পার্লামেন্টকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, এই পার্লামেন্ট এখন মৃত।

রায়ের পরপরই জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। বিরোধী বাকি দলগুলোর দাবিও অনুরূপ। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা জনসনের নেই। বরং তিনি এখন ব্রেক্সি ট বাস্তবায়নের ব্যাপারে অধিক মনোযোগ দিতে আগ্রহী।

এর আগেই পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট অন্তত তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিল পাস হয়। এই বিল পাসের পর জনসন জানান, তিনি খাদে পড়ে মরতে রাজি আছেন কিন্তু ব্রেক্সিট পেছাতে চান না। আগামী ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন হওয়ার কথা। এ সময়ের মধ্যে যদি জনসন নতুন কোনো ব্রেক্সিট চুক্তিতে ইইউ ও পার্লামেন্টের সম্মতি নিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে পার্লামেন্টের ওই প্রস্তাব মানতে বাধ্য হবেন তিনি। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে ইইউর কাছে আরো সময় চাইতে হবে তাঁর।

Bootstrap Image Preview