Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শাহজাহানপুর এলাকার টোকাই ছিলেন জি কে শামীম: মির্জা আব্বাস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৪ PM
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয় থেকে প্রভাবশালী ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক ও অর্থসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর কিছু গণমাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের লোক বলে উল্লেখ করা হলেও তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন আব্বাস। এ সময় জি কে শামীম শাহজাহানপুর এলাকার টোকাই ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জি কে শামীম আটক হওয়ার পর যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমের কাছে ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস এ দাবি করেন।

জি কে শামীমকে চিনি না দাবি করে মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি যদি আমার লোকই হতেন, তাহলে এত দিন তাকে ধরা হয়নি কেন। তিনি যুবলীগে গেলেন কীভাবে। তাহলে যারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ করে সবাই আমার লোক! তাদের সবাইকে ধরতে বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জি কে শামীম শাহজাহানপুর এলাকার টোকাই ছিলেন। এসব টোকাইদের সঙ্গে মির্জা আব্বাস পরিবারের লোকজনের কখনোই যোগাযোগ রাখেনি বা কথা হয়নি। আর এরা কখনো আমাদের বাড়িতেও প্রবেশ করতে পারেনি। এদের কীভাবে চিনব?

‘বিএনপি ক্যাসিনো শহর বানিয়েছিল’ বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগের উত্তরে ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস বলেন, ক্যাসিনো বিএনপির সৃষ্টি নয়। বরং আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন ঢাকা শহরের সব জুয়ার আসর বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সুতরাং ওবায়দুল কাদের যেটা বলেছেন সেটা সঠিক নয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পরিচয়ধারী ও রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীমকে শুক্রবার তার গুলশানের নিকেতনের কার্যালয় থেকে বিপুল অস্ত্র-মাদক ও টাকাসহ আটক করা হয়। এসময় আটক করা হয় তার ৭ দেহরক্ষীকেও। এই ঘটনায় বাদী হয়ে গুলশান থানায় জি কে শামীমসহ তার দেহরক্ষীদের নামে মামলা করে।

কিছু গণমাধ্যমে জি কে শামীমকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে জানানো হয়, তিনি এক সময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের লোক ছিলেন এবং যুবদল করতেন। যুবদল থেকে পরে যুবলীগে ঢোকেন জি কে শামীম।

জানা যায়, কমান্ডো স্টাইলে গাড়িবহর নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে চলাফেরা করতেন জিকে শামীম। অন্তত ২০ জন গানম্যান পরিবেষ্টিত হয়ে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে থাকতেন তিনি।

তা ছাড়া শটগানসহ সাতজন বিশালদেহী বডিগার্ড সার্বক্ষণিক সাথে থাকত তার। রাস্তায় বের হলে শামীমের গাড়িবহরের আগে-পিছে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল থাকত। এটাই ছিল অঘোষিত টেন্ডার কিংখ্যাত জিকে শামীমের চলাফেরার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অস্ত্রসজ্জিত দেহরক্ষী নিয়ে এভাবে চলাচলের কারণে স্থানীয়দের অনেকেরই ধারণা ছিল জিকে শামীম রাষ্ট্রীয় কোনো বড়মাপের ভিভিআইপি।

পূর্ত অধিদফতরে এভাবে রাজসিক কায়দায় প্রতিদিন ঢুঁ মেরে যেতেন শামীম। তার এমন গাড়িবহর আর অস্ত্রধারী গানম্যান দেখে পূর্ত অধিদফতরের অনেকেই শামীমকে সমীহ করে চলতেন।

স্থানীয়রা জানান, শামীমের গাড়ির সামনে থাকত তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় দেহরক্ষী। সামনে-পিছে আরও দুটি কালো রঙের জিপ গাড়ি। এসব গাড়িতে বাজতো সাইরেন। মোটরসাইকেল আরোহীরা রাস্তা থেকে অন্যসব গাড়ি ও পথচারীদের সরিয়ে সরিয়ে শামীমের গাড়িকে এগিয়ে নিয়ে যেত।

তারা জানান, শামীমের গাড়ি নিকেতনের অফিসে না পৌঁছানো পর্যন্ত রাস্তায় অন্য কোনো গাড়ি নামার ক্ষমতা ছিল না। তার ভয়ে তটস্থ থাকত নিকেতনবাসী।

Bootstrap Image Preview