রাজধানীর কলাবাগান ক্লাবে অভিযানে জুয়ার সরঞ্জাম, অস্ত্র ও ‘হলুদ রঙের বিশেষ ইয়াবা’ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব ক্লাবের সভাপতি সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ অভিযানের পর সাংবাদিকদের এসব জানান।
তিনি বলেন, কলাবাগান ক্লাবে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়া না গেলেও এখানে নিয়মিত জুয়া খেলা হতো। এর বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, এ ক্লাব থেকে উদ্ধার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ৫৭২ প্যাকেট প্লেয়িং কার্ড, জুয়া খেলার কয়েন, স্কোর বোর্ড এবং কয়েক রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল।
আশিক বিল্লাহ বলেন, কলাবাগান ক্লাবে একটি বিশেষ ধরনের ইয়াবা পাওয়া গেছে। যা আগে কোথাও দেখা যায়নি। এর রং হলুদ এবং এর কোনো গন্ধ হয় না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাব অধিনায়ক বলেন, এখানে আগে ক্যাসিনো ছিল বলে অনুমান। হয়ত কোনো কারণে তারা সেটি সরিয়ে নিয়ছে।
অভিযানের সময় ক্লাবের ভেতরে কেন সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শৃঙ্খলাজনিত কারণে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এই ক্লাবে স্থানসংকুলান নিয়ে সমস্যা ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাত ৮টায় র্যাব এই ক্লাবে অভিযান শুরু করে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে নিকেতনে ঠিকাদার জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে র্যাবের অভিযান শেষ হওয়ার আগেই কলাবাগান মাঠের পাশে র্যাবের আরেকটি দলের অবস্থান নেয়ার খবর আসে।
যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের নিকেতনের অফিসে বেলা ১১টা থেকে অভিযান চালায় র্যাব।
ওই অফিস থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে।