ক্যাসিনো মামলায় যুবলীগের যাকেই গ্রেফতার করা হবে তাকেই বহিষ্কার করব। ভুল এক জিনিস, অপরাধ অন্য জিনিস। অপরাধ, জেনে শুনে অন্যের ক্ষতি করা। ভুল হবেই। আমি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। অহংকার করবেন না।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা আজমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার অন্তর্গত উত্তরা পশ্চিম, পূর্ব, উত্তরখান, দক্ষিণখান থানাধীন ১, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একথা বলেন বলে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, পত্র-পত্রিকা দেখছেন না? সমস্ত পত্রিকা এখন ক্যাসিনোতে ভরা। এই ক্যাসিনোর মালিকেরা, না কি আমরা খামোশ। এটি মিথ্যা নয়। এই পত্রিকার ইনফরমেশন যদি আমরা আগে পেতাম তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকটিভ। একের পর এক ধরছে, যারে ধরবে তারে এক্সফেল করব। রাজনীতি করার অধিকার থাকবে না। ক্যাসিনো চালাও তুমি যেই হও।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাসিনো চালায় যুবলীগ? আমি ধন্যবাদ জানাবো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এদের মুক্ত করুন। যারাই এই কাজটি করে থাকে এদের ধরুন। যত বড় নেতা হোক, আমি করলেও আমাকে ধরেন।
ভুলভ্রান্তি হলে সাংবাদিকরা লিখবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরতেছে দেখেন না? বেশি স্মার্ট হওয়ার দরকার নাই। যুবলীগ করতে হলে ম্যানেজার হতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাইরা পাছা লাল করতেছে দেখেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওরে পাগল হইলে বউ ছাড়া কেউ থাকে না। বউ খারাপ না? পাগল হইলেও বউ ভালো। চাঁদাবাজি করো? এইটা শেখ হাসিনা সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এটা বাবর আলী মন্ত্রণালয় না, এটা খালেদা জিয়ার মন্ত্রণালয় না। যুবলীগ কইরা মাতব্বরি করবেন ওই দিন শেষ।