Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মীর ইস্যু: মোদির কাছে জবাবদিহি চাইলো যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫৬ PM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অযৌক্তিকভাবে বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে কাশ্মীরকে ভারতেরসঙ্গে যুক্ত করা এবং সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জবাবদিহি চেয়েছে এক মার্কিন আদালত। 

এমন এক সময়ে আদালত এই জবাদিহি চাইলো যখন মোদির সঙ্গে এক যৌথ সমাবেশে অংশ নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী রোববার ওই দুই নেতার টেক্সাসের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন জানায়, কাশ্মীর খালিস্তান রেফারেনডাম ফ্রন্টের দায়েরকৃত এক অভিযোগের ভিত্তিতে টেক্সাসের হাউস্টনের জেলা আদালত এই নির্দেশনা জারি করেছে। আদালত বলছে, আগামী ২১ দিনের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাকে এই জবাবদিহির উত্তর দিতে হবে।

রেফারেনডাম ফ্রন্টের অভিযোগ, মোদি সরকার জোরপূর্বক কাশ্মীর দখল করেছে এবং গত ৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সেই বিতর্কিত অঞ্চলটিকে ভারতের সঙ্গে সংযক্ত করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্য আরেকজন ভারতীয় কর্মী কানওয়াল জিত সিংয়ের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আনা হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কাশ্মীরের ওপর দীর্ঘতম ও নজিরবিহীন কারফিউ চাপিয়ে দেওয়া, বিশ্ব থেকে অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা, কাশ্মীরিদের মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা সৃষ্টি করা, অবৈধভাবে আটক, জোরপূর্বক তুলে নেওয়া, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ওই অভিযোগে অভিযোগকারী গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনারা সেখানে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কাশ্মীরের বারটি গ্রামের ৫০ জনের বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদটি তৈরি করেছে এপি। ওই প্রতিবেদনে কাশ্মীরে কঠোর নিরাপত্তা আরোপ এবং স্থানীয় লোকজনের ওপর সেনারা বেধড়ক মারধোর ও বৈদ্যুতিক শক দেয়ার মত অপরাধ করছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেনারা কাশ্মীরের লোকজনকে মাটি ও নোংরা পানি খেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দানকারী ৩৭০ ধারটি বাতিলের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসময় জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে আলাদা করে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গঠনেরও ঘোষণা দেয়া হয়। সরকারি ভাবে ওই ভাগাভাগি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩১শে অক্টোবর।

তার আগে ওই দুই রাজ্যের মধ্যে সম্পদ ও দায় ভাগাভাগির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিকে বিশেষ ব্যবস্থা বাতিলের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি। লাখ লাখ ভারতীয় সেনা বেষ্টনীর মধ্যে কার্যতঃ অবরুদ্ধ কাশ্মীরের জনগণ। এখনও জেলবন্দি হাজার হাজার নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ। বন্ধ রয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও সেখানে শিক্ষার্থীদের দেখা মিলছে না।

সূত্র: ডন

Bootstrap Image Preview