Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রেণিকক্ষেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, অতঃপর...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৫১ PM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৫১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


লক্ষীপুরে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাইফুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। 

এদিকে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে এমজে আলম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদটি না করতে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন। তবে এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ছাত্রীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নোয়াখালীর বাসিন্দা। ছাত্রীর বাবা লক্ষীপুরের জকসিন বাজারে একটি মিষ্টির দোকানের কারিগর। স্বপরিবারে বাঙ্গাখাঁ এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সহপাঠিদের সঙ্গে ওই ছাত্রী শিক্ষক সাইফুলের কাছে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়।

প্রাইভেট শেষে সবাইকে বাড়ি যেতে দিলেও তাদের মেয়েকে দেওয়া হয়নি। এসময় শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে সাইফুল জোরপূর্বক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। একপর্যায়ে সে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি গিয়ে মা-বাবাকে কান্নাকাটি করে বিষয়টি জানাই। ঘটনাটি জানতে পেরে বিদ্যালয় গিয়ে অভিযোগ করতে গেলে ওই শিক্ষক ছাত্রী মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান।

কিন্তু তারা কোন বিচার পাননি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানানো হয়। গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম বলেন, গত তিন বছর ধরে আমি ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছি। তার সাথে কখনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘটনার যদি সত্যতা পাই, তাহলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর দরকার ছিলো না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ রইলো।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না। আর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview