রূপকথাকেও হার মানিয়েছেন এক সময়ের স্টেশন থেকে স্টেশনে ঘুরে বেড়ানো রাণু মন্ডল। ভবঘুরে রাণু মন্ডল পথে-ঘাটে গান গেয়ে বেড়াতেন। সেখান থেকে সোজা পাড়ি দিয়েছেন স্বপ্ননগরী মুম্বাইয়ে। করেছেন বলিউড ছবিতে প্লেব্যাক। জাদুকরি কণ্ঠের জোরে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বাইরেও। এমনকি বাংলাদেশেও তার গানের ভক্ত জুটে গেছে অনেক।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, এবার বাংলাদেশের ছবিতে গান গাইতে চলেছেন এই লতাকণ্ঠী গায়িকা। সেজন্য তিনি পাসপোর্টও করতে দিয়েছেন। কলকাতার রুবির মোড়ে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিসে দেখা গেছে তাকে। সেখান থেকে জানা যায় তিনি বাংলাদেশে আসার উদ্দেশে পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন।
আরও জানা গেছে, ইতিমধ্যে তিনি পাসপোর্টের সকল পক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। অচিরেই তিনি কলকাতায় বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। যদিও রানু মণ্ডলের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে তার আবিষ্কারক অতীন্দ্র চক্রবর্তী কিছু বলেননি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। মূলত অতীন্দ্র চক্রবর্তীর রেকর্ড করা রানুর ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর হৈ চৈ পড়ে যায় সবখানে।
‘ফুলো কা তারো কা’, ‘পানা কি তামান্না’ বা ‘জিন্দেগি অওর কুছ ভি নেহি’ দিন-রাত গান গাইতেন রানাঘাটের ভবঘুরে রাণু। সম্প্রতি কয়েকজন এই গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। তারপরেই মুহূর্তে ভাইরাল রানাঘাটের ‘লতা’। বদলে গেল ভবঘুরে রাণুর জীবন।
এককথায়, রাণু পেলেন লটারি। রানাঘাটের স্টেশনের ভাইরাল রাণু এখন খবরের শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দুতে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লতার গান গেয়ে রাতারাতি স্টার হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে রাণু কী করছেন, কী পরছেন, কী গাইছেন- তার প্রতিটি গতিবিধিই খবরের শীর্ষে।