Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংঘাতের শুরুতেই আমরা মার্কিন রণতরীগুলো ডুবিয়ে দেব: ইরান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৮ PM
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৮ PM

bdmorning Image Preview


ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, দেশটি থেকে চারদিকে ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের সবগুলো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও যুদ্ধজাহাজ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।

আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদে রোববার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি তাদের বিমানবাহী জাহাজ ও অন্যান্য রণতরী আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ২,০০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো মার্কিন ঘাঁটি ইরানের হামলার আওতামুক্ত নয়।”

তিনি বলেন, “তারা (আমেরিকানরা) ভেবেছে রণতরীগুলো নিয়ে তারা যদি ইরানের পানিসীমা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকতে পারে তাহলে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র তাদের নাগাল পাবে না। কিন্তু (বাস্তবতা হচ্ছে) তারা কোথায় আছে সেটা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়, সংঘাত শুরু হলে প্রথমেই আমরা তাদের রণতরীগুলোতে হামলা চালাব।”

জেনারেল হাজিযাদে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষে রয়েছে ইরান এবং আন্তর্জাতিক পরিসরেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রকে সবাই সমীহ করে চলে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির দিক দিয়ে ইরান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি শক্তির কাতারে শামিল হয়েছে বলে তিনি জানান।

আইআরজিসি’র এই কমান্ডার বলেন, আমেরিকা বা ইরান কেউই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চায় না। কিন্তু পারস্য উপসাগরে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা থেকেও একটি বড় ধরনের যুদ্ধ বেধে যেতে পারে এবং সে যুদ্ধের জন্য তেহরান পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

জেনারেল হাজিযাদে গত জুন মাসে ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, “ড্রোনটি আমাদের আকাশসীমার কয়েক কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছিল।

এমনকি এটি যদি মাত্র কয়েক মিটারও প্রবেশ করত তবুও আমরা সেটিকে গুলি করে ফেলে দিতাম।” তিনি আরো বলেন, ওই ড্রোন ভূপাতিত করার পর আমরা সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের দু’টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং ওমান সাগরে অবস্থিত একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছিলাম।

মার্কিন সরকার গ্লোবাল হক মডেলের ওই ড্রোনটির ব্যাপারে এতদিন দাবি করত, এই ড্রোন যেকোনো রাডার ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে এবং এটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইরান এটিকে ভূপাতিত করার পর পাশ্চাত্য ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।

Bootstrap Image Preview