Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অন্তঃসত্বার খবর গোপন রেখেই কিশোরীকে বিয়ে, অতঃপর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:২৭ PM
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:২৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বরগুনার পাথরঘাটায় অন্তঃসত্বার খবর গোপন রেখেই এক কিশোরীকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা একজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

জানা যায়, গত ১৫ জুলাই অন্তঃসত্বার খবর গোপন রেখেই উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের বাসিন্দা লাল মিয়ার ছেলে মাজহার উদ্দিন টেকনিক্যাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জহির উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। এর নেতৃত্ব দেন কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।

পরে কোরবানির ঈদের আগের দিন স্বামী জহির তার বাড়িতে নিয়ে যায় স্ত্রীকে। বাসর ঘরে প্রকাশ পায় নববধূ অন্তঃসত্ত্বা।

যুবকের ভাবিকে বিষয়টি জানালে কয়েকদিন পর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় প্রমাণ মেলে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

জহির উদ্দিন বলেন, আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেয়ের অভিভাবকরা। আমি এর বিচার চাই।

তার ভাই আল-আমিন বলেন, কাকচিড়ার চেয়ারম্যান পল্টু স্থানীয় কাজীকে ডেকে এনে বিয়ে পড়ান এবং কাবিন রেজিস্ট্রি করিয়ে দেন।

অভিযুক্ত কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। আমার কার্যালয়ে এমন কোন বিয়ে হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার শিংড়াবুনিয়া গ্রামের ওই কিশোরীর মা-বাবা রেখা বেগম ও জালাল মুন্সি ঢাকায় কাজ করতেন। ১৬ বছরের মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯/১০ মাস আগে আপন ভাই আবুল কালাম এর বাড়িতে রেখে যায়। কিন্তু আবুল কালামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার ছেলে সোলায়মানের সঙ্গে কিশোরীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে মামাতো ভাই সোলায়মানের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে হয়ে অন্তঃসত্ত্বা। হঠাৎ করেই বদলাতে শুরু করে সকল প্রেক্ষাপট।

এঘটনায় শুক্রবার বিকালে কিশোরীর মা রেখা বেগম পাথরঘাটা থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে তার আপন ভাই আবুল কালাম আজাদ, ভাইয়ের ছেলে ও ভাইয়ের বউকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে। ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরী ৩২ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা হয়। চলতি বছরের নভেম্বরের ৬ তারিখে সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ।

গত শুক্রবার আবুল কালামকে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠান হয়।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ওই কিশোরীর মামাতো ভাই সোলায়মান ও তার বাবা-মাকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বাবা কালামকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত মামাতো ভাই সোলায়মানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

  •  
Bootstrap Image Preview