Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কমিশন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাচ্ছেন জাবি উপাচার্য

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:২৯ PM
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফেঁসে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঘটনার সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। 

কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পদ ছাড়তে হয়েছে। একই অভিযোগ উঠেছে জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপাচার্যকে পদ থেকে সরে যেতে হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিশন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জাবি উপাচার্য দায় এড়াতে পারেন না। একজন উপাচার্যের কাছে ছাত্রনেতারা কীভাবে কমিশন দাবি করার সাহস পান, এ বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে উপাচার্য কীভাবে বৈঠক করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার জাগো নিউজকে বলেন, জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

বিষয়টি গোপনভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ খুবই গুরুতর, তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হতে পারে। অভিযোগের সত্যতা মিললে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, জাবি উপাচার্য একাধিকবার ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকদের নজরে আছে। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে অব্যাহতির ঘটনার পর এখন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কমিশন আদায় করার বিষয়টি নিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কেউ কেউ উপাচার্যের এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তবে এ নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রকার প্রভাব ফেলেনি বলে জানান এই শিক্ষক।

Bootstrap Image Preview