নতুন অভিবাসন নিয়ে যারা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডায় আসছেন, তাদের জন্য বিরাট ভূমিকা রাখছে ক্যালগেরির এবিএম কলেজ। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি কলেজটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সমাবর্তনে নতুন অভিবাসীরা কিভাবে শর্ট টার্ম ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন, তারই বিস্তারিত বর্ণনা দেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. বাতেন।
কানাডার ক্যালগেরি শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠছে প্রাইভেট ভোকেশনাল এবিএম কলেজ। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই নতুন অভিবাসী। তাদের জন্য সরকারি ঋণসহ রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
‘হেলথকেয়ার এইড’ প্রশিক্ষণের জন্য এবিএম কলেজ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কলেজটির মাধ্যমে অভিবাসীরা তাদের সংক্ষিপ্ত ডিপ্লোমা কোর্স করে বেছে নিচ্ছেন পছন্দসই চাকরি।
কোর্সগুলোর মধ্যে ‘হেলথকেয়ার এইড’, ‘মেডিক্যাল অফিস অ্যাসিস্টেন্ট’, ‘ম্যাসাজ থেরাপি’, ‘ফার্মেসি অ্যাসিস্টেন্ট’, ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড পেরোল’, ‘বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’, ‘লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্ট’, ‘এজুকেশন অ্যাসিস্টেন্ট’, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’, ‘অ্যাডিকশন অ্যান্ড সোশ্যাল সার্ভিসেস ওয়ার্কার’ কোর্স অন্যতম।
গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করার সাথে সাথেই কীভাবে অভিবাসীরা দ্রুত চাকরি পাবে তার জন্য কলেজটিতে রয়েছে এমপ্লয়মেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, যার প্রধান কাজ হলো চাকরির বাজারে চাকরিদাতাদের সঙ্গে অভিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের যোগসূত্র তৈরি করে দেয়া। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় ৯০ শতাংশ সফলতা এসেছে।
বছরের যে কোন সময় কলেজটিতে ভর্তি হওয়া যায়।
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. বাতেন বললেন, ‘গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি চাকরির বাজারে টিকে থাকা এবং প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি এদেশে এসে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
প্রায় তিন হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী তাদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছে।