Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯/১১ বার্ষিকীতে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে রকেট হামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৫৬ PM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে ফের টার্গেট করা হলো মার্কিন দূতাবাসকে। এবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বুধবার ভোররাতে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইন্ডিয়া টাইমস, ফক্স নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার ভোররাতে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে দূতাবাস চত্বর ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। সেসময় দূতাবাসের ভিতরে কর্মচারীরা লাউডস্পিকারের মাধ্যমে এই বার্তাটি শুনতে পেয়েছিলেন, ‌‘রকেটের কারণে বিস্ফোরণটি কমপাউন্ডে ঘটেছে।’

মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মী ফোনে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বিশদ কিছু জানাতে পারেননি। সরকারিভাবেও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর জানানো হয়নি।

এদিকে দূতাবাসের কাছেই অবস্থিত ন্যাটো মিশনও বলেছে, রকেট হামলার ঘটনায় কোনো কর্মী আহত হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দেওয়ার পর কাবুলে এটাই প্রথম বড় হামলা। যদিও লাগাতার ছোটখাটো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছে জঙ্গিরা। যার জেরে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহেই দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কাবুলে বেশ কয়েকজন সাধারাণ নাগরিক নিহত হন। হামলায় শহীদ হন ন্যাটোর দুই মার্কিন জওয়ানও। যে কারণে ইউএস-তালিবান আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প।

তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু গত সপ্তাহে তালেবানের ওই হামলার পরেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় টুইন টাওয়ার। এই হামলায় ২ হাজার ৯৯৭ জন নিহত হন। ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। ধ্বংস হয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টুইন টাওয়ার, যা নিয়ে আমেরিকার গর্ব ছিল।

এ ঘটনার জন্য বরাবরই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দাকে দোষারোপ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার মাস্টারমাইন্ড ওসামা-বিন-লাদেন। এই দিনটি যে কারণে আমেরিকার নাগরিকদের কাছে অন্তত সংবেদনশীল।

তার পর থেকে বিগত আঠারো বছর ধরে আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন হানায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ১৪ হাজার মার্কিন সেনাও সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার অংশ হিসেবেই তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

Bootstrap Image Preview