ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সাবেক মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান সব চেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ইরান তৃতীয় দফায় পরমাণু সমঝোতার আরও কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সে ব্যাপারে শেরম্যান উদ্বেগ প্রকাশ করে রোববার এ মন্তব্য করেছেন। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরকার সই করেছিল। ওই সমঝোতায় পৌঁছার দীর্ঘ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন শেরম্যান।
ওয়াশিংটনে রোববার তিনি এক বক্তব্যে বলেন, ইরান যেভাবে ধীরে ধীরে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন থেকে সরে যাচ্ছে তাতে এক সময় এ সমঝোতা অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। তবে তিনি এও বলেন, ইরান এখন যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা থেকে যদিও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে কিন্তু তারা পরমাণু তৎপরতার ক্ষেত্রে গবেষণা করতে গিয়ে এই সুযোগে নতুন নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ব করতে পারে এবং এটিই উদ্বেগের বিষয়।
শেরম্যান আরো বলেন, এমনকি আমেরিকা যদি বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের সবগুলো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসও করে দেয় তারপরও প্রযুক্তি আয়ত্বে থাকার কারণে তেহরান আবার পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে।
আমেরিকা ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় আরও কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায় ইরান। ফলে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের সময় স্থগিত রাখা বেশ কিছু পরমাণু তৎপরতা আবার শুরু করেছে তেহরান।