Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মন্ত্রিত্বসহ এমপি পদ ছাড়লেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভাই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৬ PM
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পরিবার ও জাতীয় স্বার্থ; এই নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছিলেন। আর সেই সংকটের কোনও সমাধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সরেই গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ছোট ভাই জো জনসন।

জো জনসন সংসদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী উভয় পদ থেকেই পদত্যাগ করেছেন। জো দক্ষিণ লন্ডনের অর্পিংটন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৬ সালে ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন জো জনসন। অপরদিকে তার বড় ভাই ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালান। চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ২১ এমপি নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেন। এরপর তাদেরকে বরখাস্ত করেন জনসন। এ অবস্থায় জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে এবার পদত্যাগ করলেন জো জনসন।

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে থেরেসা মে’র বিরোধিতার করে গত বছর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন জো জনসন। পরবর্তীতে তার ভাই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ফের মন্ত্রিসভায় ফেরেন তিনি।

এমন এক সময়ে জো জনসন পদত্যাগ করলেন যখন সরকার আগামী মঙ্গলবার আরেকদফা ভোটের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামন্টে স্থগিত রাখা অথবা আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ফের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।

এ অবস্থায় উভয় সংকটে পড়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জো জনসন বলেন, তিনজন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নয় বছর মন্ত্রী থাকাটা সত্যি আমার জন্য সম্মানের। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি পারিবারিক আনুগত্য ও জাতীয় স্বার্থ নিয়ে একটা সংকটে পড়েছি। এই সংকট সমাধানযোগ্য নয়। তাই এ অবস্থায় এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে অন্য কারও এই ভূমিকা পালন করার সময় এসেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তার কর্মের জন্য জো জনসনকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী সাংসদ ও দুর্দান্ত মন্ত্রী ছিলেন।

বরখাস্ত হওয়া সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী ডেভিড গুয়াক বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক এমপিই এমন উভয় সংকটে রয়েছেন। এক্ষেত্রে জো’র চেয়ে বেশি সংকটে নিশ্চয়ই কেউ ছিলেন না। তিনি চলে যাওয়ায় পার্লামেন্ট, কনজারভেটিভি পার্টি ও সরকারের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

এদিকে বিরোধী লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার বলেন, বরিস জনসন তার নেতাকর্মীদের এতোটাই হুমকিতে রেখেছিলেন যে, নিজের ভাইও তাকে বিশ্বাস করতে পারেননি। বিবিসি

Bootstrap Image Preview