প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় দুই যুবকের বিচার শেষ করা হয়েছে জুতাপেটা করে।
মঙ্গলবার (২৭-৮-১৯) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নে এক সালিশের মাধ্যমে এ বিচার কাজ শেষ হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার মান্দ্রা গ্রামের হামিদ শেখ (১৯) ও হালিম শিকদার (১৮) নামে দুই যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি চিৎকার শুরু করতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তবে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক।
বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল মঙ্গলবার মান্দ্রা গ্রামের আজাহার শেখের বাড়িতে সালিসে বসে ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং হামিদ-হালিমের পরিবার।
এতে উপস্থিত ছিলেন হাবিব ডাক্তার, ইলিয়াস শেখ, হামিম শেখ, সালাম দাড়িয়া, ইলিয়াছ শেখ, মামুন শেখ, হাসান মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদের উপস্থিতিতেই হামিদ-হালিমকে জুগাপেটা করে ধর্ষণচেষ্টার বিচার শেষ হয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে হাবিব ডাক্তার বলেন, এলাকার শান্তির জন্য হামিদ ও হালিমকে জুতাপেটা করা হয়েছে। আইন আদালত করা হলে বিষয়টি লোকজন জানত। এলাকার মুরব্বিরা তাই সালিসের ব্যবস্থা করেন। ওই দুই যুবকের অভিভাবকেরাই তাদের জুতাপেটা করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এলাকার মুরব্বিরা অনুরোধ করায় তিনি সালিস বৈঠকের জন্য রাজি হন। হামিদ-হালিমকে জুগাপেটা ছাড়া সাদা কাগজে একটি মীমাংসাপত্র নিয়ে বিচার কাজ শেষ করা হয়। যেহেতু মেয়ের ব্যাপার, লোকজন যাতে না জানে তাই আইন আদালতের দ্বারস্থ হননি তিনি।
তবে হামিদ শেখের বাবা দাবি করে বলেন, তার ছেলের মাধ্যমে মেয়েটিকে ধর্ষণচেষ্টার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি গ্রাম্য রাজনীতির শিকার। তারপরও এলাকার মুরব্বিদের রায়কে অসম্মান করেননি তিনি।
কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া এ বিষয়ে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ও সালিসকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।