কাশ্মীরে ঢুকতে না পেরে দিল্লিতে ফেরত পাঠানোর সময় ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ফ্লাইটের ভেতরেই এক কাশ্মীরী নারী সেখানকার অবস্থার বর্ণনা করেছেন।
রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এমন ঘটনার একটা ভিডিও টুইটে পোস্ট করেন।
দিল্লী ফেরতগামী বিমানের মধ্যেই রাহুলের সামনে কার্যত কেঁদে ফেললেন কাশ্মীরের ঐ নারী। রাহুলকে শোনান তার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা। আর তাতেই ৩৭০ ধারা রদের পর উপত্যকার অভ্যন্তরের একটি খণ্ডচিত্র চলে আসে সামনে। নেটিজেনদের মধ্যে সেই ভিডিও যেন ভাইরাল হয়ে গেছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাহুল গান্ধী ভারতের বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দেখতে চান সরেজমিনে, স্বায়ত্তশাসন হারিয়ে কী পরিস্থিতিতে আছে কাশ্মীরিরা। কিন্তু, শ্রীনগর বিমানবন্দরেই তাদের আটকে দেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। সেখান থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় দিল্লীতে।
বিমানের ভেতরেই, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর কাশ্মীরিদের কী দুর্দশা এবং কি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সেই কথা শোনান এক মধ্যবয়সী কাশ্মীরি নারী। রাহুলকে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েকে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না। আমার ভাই হৃদরোগাক্রান্ত। ১০ দিন ধরে তিনি ডাক্তার দেখাতে পারেননি। আমরা খুব বিপদে আছি।’ ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে, এই কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই কাশ্মীরি, রাহুল তাকে সান্ত্বনা দেন।
শ্রীনগর বিমানবন্দরে রাহুলদের আটকে দেওয়ার পর সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তার একটিতে পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাহুল বলেন, ‘সরকার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। গভর্নর বলছেন, আমি আমন্ত্রিত। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, আমি এসেছি, কিন্তু আপনারা বলছেন যেতে দেয়া হবে না। আবার সরকার বলছে, সব কিছু স্বাভাবিক। সব যদি স্বাভাবিকই থাকে, তাহলে আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এটা তো আশ্চর্যজনক।’