সপ্তাহের অন্য কোনো দিনের চেয়ে জুমাবারের গুরুত্ব বেশি। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো। এ দিন ইসলামের ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তাআলার কাছে এতোখানি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরাও নাজিল করা হয়েছে।
মূলত জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা সপ্তাহের অন্য কোনো দিন করা হয় না বা করার অবস্থা থাকে না। শুধু জুমাবারেই সেগুলো করার সুযোগ থাকে। তাই একটু চেষ্টা করলে সহজেই আমলগুলো করা যায়। জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল তুলে ধরা হলো।
* গোসল করা।
* জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
* মিস্ওয়াক করা।
* উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো সাজসজ্জা করা।
* আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া।
* সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
* জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
* নিজের প্রয়োজনীয় সবকিছু চেয়ে এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা।
* জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
* পরে মসজিদে এসে মুসল্লিদের ডিঙিয়ে সামনে না যাওয়া।
* মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
* মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা এবং খুতবা চলাকালে চুপ থাকা ওয়াজিব।
* খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা।
* দুই খুতবার মাঝখানে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
* কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন’ বা এ জাতীয় কথাও না বলা।
* মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা।
* এতোটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া, যাতে অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।