তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা এবং ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেস্টা একই সূত্রে গাঁথা।
‘উভয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ৭৫ এর খুনিদের রক্ষা করে চাকরির ব্যবস্থা এবং গ্রেনেড হামলাকারীদের বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে পুনর্বাসিত করেছিল’।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সিংড়া উপজেলা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা পরাজিত হয়েছিল। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ৭৫ এর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুর কোনো রক্তকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়নি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য শুধু আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিলনা, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরীকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। হাওয়া ভবনে বসে তৎকালীন তিনমন্ত্রী, একজন সংসদ সদস্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে ওই হত্যা পরিকল্পনা করেছিল।
ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো দেশে-বিদেশে সক্রিয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্যে।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার আজন্ম লালিত সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সন্ত্রাস, মাদক, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি নির্মূল করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই।
সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা।