Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নরসিংদীর এক বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে টেঁটা, বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৬:১১ PM
আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৬:১১ PM

bdmorning Image Preview


 

নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের একটি বাড়ি থেকে ১৪০টি টেঁটা, ৬২টি ককটেল ও ৫টি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত রবিবার দুপুর ১টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ও স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার চরাঞ্চল খোদাদিলা গ্রামের আবদুল হাই ওরফে রমন গ্রুপের জাকির হোসেন (৪৫) এবং কাছম আলী গ্রুপের হাসান মিয়ার (৬৫) মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে পরদিন সোমবার সকালে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১০/১৫টি বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়।

খবর পেয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে খোদাদিলা গ্রামের মৃত জুলমত আলীর ছেলে আলাউদ্দিনের বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁর উত্তর ভিটার চৌচালা টিনের ঘরের খোলা বারান্দার পূর্ব পাশ থেকে ১৪০টি টেঁটা, বারান্দার পশ্চিম পাশের রুমের খাটের উপর ছোটি বড় ৮টি বালতিতে রাখা লাল, কালো ও হলুদ রঙের ককটিপে মোড়ানো ৬২টি ককটেল এবং ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটনের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল ককটেলগুলো ফাঁকা জায়গায় নিস্ক্রিয় করেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান, শফিউর রহমান, শাহেদ আহমেদ (সদর সার্কেল), বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আলাউদ্দিন, এক পক্ষের নেতা জাকির হোসেন ও অপর পক্ষের নেতা হাসান মিয়াসহ উভয় পক্ষের অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview