Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’: নিরাপত্তার দাবিতে ভারতের শরণাপন্ন হিন্দু মহাজোটের নেতারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৪১ PM
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৪১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বাংলাদেশে নাকি ব্যাপক হারে হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে, দখল করে নেয়া হচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি ও মন্দির। তাই এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবিতে দিন কয়েক আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোট দলের নেতারা। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতের ‘যুগশঙ্খ’পত্রিকাটি। সূত্র: যুগশঙ্খ

এই ধর্মভিত্তিক দলটির নেতাদের আরো দাবি, গত মাসে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা নাকি পুরোপুরি সত্যি।

সোমবার এক প্রতিবেদনে ‘যুগশঙ্খ’ জানায়, গত ১৪-১৭ আগস্ট কলকাতা, আগরতলা ও দিল্লিতে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের নেতাদের তিনটি প্রতিনিধি দল ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং চরমপন্থি হিন্দু দল আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের ওপর তথাকথিত নির্যাতনের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের দুই নেতা মিলন ভট্টাচার্য ও গঙ্গেশচন্দ্র দাস দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রশান্ত হরতালকার এবং আরএসএসর নিখিল নামতকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন হিন্দু মহাজোটের মানিক দে, মিঠু রঞ্জন দে, গোপাল পাল, দীপক কর, সুজন সরকার, পলাশচন্দ্র সরকার রবীন ঘোষ ও লাকি বাছাড়রা।

এছাড়া আগরতলায় বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিজন সানা ও সাংসদ প্রতিভা ভৌমিকসহ একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মহাজোটের নেতা রিপন দে।

এই বৈঠকের কথা স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক। গত রোববার তিনি ‘যুগশঙ্খ’ পত্রিকাার প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমরা তাদের বলেছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, তা নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এই দেশকে হিন্দুশূন্য করার চক্রান্ত চলছে।’

তার আরো অভিযোগ, আগামীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো মৌলবাদী হয়ে যাওয়ারে আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই আগেভাগেই তিনি ভারতের হিন্দু নেতাদের সাহায্য চাইলেন।

তার ভাষায়, ‘কিন্তু আমরা হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চাই না। আমরা এখানে পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে চাই।’

তাহলে তার এই যুক্তি এবং হিন্দু মহাজোটের কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে, ভারতের হিন্দু নেতারাই কেবল বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। যে কারণে ভারতের কাছে মহাজোটের নেতাদের এই দেন দরবার।

প্রসঙ্গত গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে তথাকথিত হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সাহায্য চান প্রিয়া সাহা নামের এক হিন্দু নারী। এ ঘটনায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মুখে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামের সংগঠনটি।

Bootstrap Image Preview