আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি পশুর চামড়া কিনে ফেলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে ৩০ ট্রাক চামড়া বিএনপি কিনে ফেলে দিয়েছে। বিএনপি এসব চামড়া কিনে স্টক করেছিল। তারপর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য সেগুলো ফেলে দিয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে যখন পারে না তখন চামড়াকে ধরেছে তারা।’
এ খাতে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলার সুযোগ কেউ না নিতে পারে সেজন্য টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্যানারি মালিক, আড়ৎদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ১০ হাজারের মতো কোরবানি পশুর চামড়া নষ্ট হয়ে থাকতে পারে। যা নগণ্য ব্যাপার। চামড়া নষ্ট হওয়ার তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে পেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে জেলা থেকে যারা এসেছেন তারা জানিয়েছে। বিএনপি রাজনীতির কোনো কিছুতে না পেরে চামড়ায় বিনিয়োগ করেছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা এ বিষয়ে সচেতন। এখন কেউ চামড়া মাটিচাপা দিয়ে ও পুড়িয়ে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।’
চামড়া রফতানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অবস্থা বুঝে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চামড়া শিল্পে আপাতত সমস্যা নেই বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, একটি কুচক্রী মহল সরকারকে বিপদে ফেলতে চামড়া ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করেছে। ফলে চামড়ার বিশাল দরপতন হয়েছে। কোরবানিতে এক কোটি চামড়া হয়। এবার তার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। প্রতিবছর কিন্তু ৫ হাজার চামড়া এমনিতেই নষ্ট হয়। এবার মূলত বেশি গরমের জন্যই চামড়া বেশি নষ্ট হয়েছে। জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা এ কথা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম। এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, চামড়া আড়ৎদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।