ছোট মেয়েকে খুনের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করল ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আর এক মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুলাই মাথা কেটে খুন করা হয় বছর উনিশের এক তরুণীকে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাখির দিন এই খুনের কথা জানাজানি হয়। তার পরেই বাবার বিরুদ্ধে ছোট বোনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বড় মেয়ে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
লিখিত অভিযোগে খুন হওয়া তরুণীর দিদি জানান, বোনকে বিগত দুই বছর ধরে একাধিকার বাবা ধর্ষণ করেছে। ২৬ জুলাইও বোনকে বাবা ধর্ষণ করতে গিয়েছিল। বাধা দেওয়াতেই নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।
এফআইআর দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তকে খুঁজছিল পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ তাকে ধরতে সক্ষম হয়।
সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সুনীল গুপ্তা জানান, অভিযুক্ত জেরায় মেয়েকে নিজে হাতে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, দুই বছর ধরে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। তাকে জেরা করেই উরওয়া থেকে উনিশের ওই তরুণীর কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি মাটি নীচে চাপা দেওয়া ছিল। ধড়টি বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে নুল্লাহর নির্জন এলাকার একটি ঝোপ থেকে।
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ১৫ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। বড় মেয়ের বিয়ে দেয় ২০১৫ সালে। তার পর থেকে ছোট মেয়েকে নিয়েই সে থাকতো
রক্ষাবন্ধনে ছোট বোন তার শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায়, দিদির সন্দেহ হয়। কারণ, বিয়ের পর থেকে প্রতিবার রক্ষাবন্ধনে তার কাছে এসেছে। তাই বাবাকে ফোন করে বোনের কথা জিঙ্গেস করে। বাবা বড় মেয়েকে জানায়, সে ছোটকে গলাকেটে খুন করেছে। এর পরই বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বড় মেয়ে।
হত্যাকারীকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে, আদালত জেল হেফাজতে পাঠায়।