দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ শহরে শতাধিক বাংলাদেশিসহ পাকিস্তানি, ইথোপিয়ানসহ প্রায় সহস্রাধিক বিদেশি নাগরিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে জোহানেজবার্গ স্মলস্টেট, ইথুপিয়ান মারর্কেট, এমটিএন,জিপি, প্লেনস্টেট,কমিশনার স্টেট, ব্রিরিস্টেটসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় ১৫০০ পুলিশ, ইমিগ্রেশন ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় সহস্রাধিক বিদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এ যৌথ অভিযানে প্রায় ১০০ এর বেশি বাংলাদেশিসহ অধিক সংখ্যক ইথুপিয়ান নাগরিকে রয়েছে। সে সময় ইথুপিয়ান মার্কেট থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ নকল পন্যদ্রব্য উদ্ধার করে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১আগস্ট) জোহানেসবার্গ টাউনের জেপি স্ট্রীট, রহিমা মুসা, ডেভলার্স স্ট্রীট এলাকায় ভাসমান হকার উচ্ছেদ করতে গেলে মেট্রো পুলিশের গাড়িবহর উপর হামলা চালায় ইথুপিয়ানসহ অন্যান্য দেশের বিদেশি নাগরিক। সে সময় অনেক পুলিশ আহত এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করেন বিদেশিরা। এর জের ধরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের এ ক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
এ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি যারা আটক রয়েছেন তাদের পারমিট প্রিটোরিয়া হোম অ্যাফেয়ার্সে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল হোম অ্যাফেয়ার্সের পাঠানো তথ্যে যাদের পারমিট বৈধতা পাবে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। আর যাদের পারমিট নাই অথবা পারমিট অবৈধ প্রমানিত হবে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে প্রেরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে যানচলাচলের জন্য শহরের দু একটি রাস্তার ব্যারিকেড তুলে দেয়া হলেও অন্য রাস্তায় এখনো ব্যারিকেড রয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে, আজকের অভিযান পরিদর্শন করতে এসে পুলিশ মিনিস্টার ব্যেকি চেলে গীন বলেন, এ যুদ্ধে পুলিশ জয়ী হবে। এ অভিযান পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এ চলমান অভিযানে জোহানসবার্গ শহরে অনেকেই অনিশ্চিত জীবন পার করছেন, বিশেষ সূত্রে জানা যায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ রইল। সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা করে একা চলাফেরায় সর্তকতা অবলম্বন করুন।