ফেনীতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়ে ধরা খেল আবদুর রহমান

ফেনীতে আবদুর রহমান (২১) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনশক্তি রফতানি অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর মহিপালে জনশক্তি রফতানি অধিদফতরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক।

এ বিষয়ে ফেনীর জনশক্তি রফতানি অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার এক সাংবাদিকসহ অফিসে বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) দিতে আসেন আবদুর রহমান। এ সময় ওই সাংবাদিক ‘তাড়া আছে’ বলে দ্রুত কাজটি করে দিতে কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ করেন। পরে কর্মকর্তারা নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তাদের কথা বুঝতে পারছিলেন না ওই যুবক। এতে তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই সাংবাদিকসহ তার সঙ্গে আসা আরও দুইজন সটকে পড়েন। পরে আবদুর রহমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ওই রোহিঙ্গা যুবকের প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত পাসপোর্টে (বিআর ০৬৮৭৪৪৩) তার নাম- আবদুর রহমান, পিতার নাম- মো. জাহান ও মাতার নাম- নুর জাহান লেখা হয়েছে। ঠিকানা দেয়া হয়েছে- ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রহমান জানান, গত বছর দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পাসপোর্টটি বানানো হয়। পরে ওই দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে প্রিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে আসেন তিনি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।