Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিপজ্জনক খেলায় নেমেছেন মোদি: পাকিস্তান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫১ PM
আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রবিবারই ভারতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঐদিন কাশ্মির ইস্যুতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ করার কথাও বলেন তিনি। এবার আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর ফের ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিল পাকিস্তান। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা (Special Status) অর্থাৎ ৩৭০ এ আর্টিকল তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এরপর থেকে কাশ্মীরিরা আর ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন না। আর এই পরিস্থিতিতে কড়া প্রতিক্রিয়া এল পাকিস্তান থেকে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তাঁর মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টে সমস্যা আগের থেকে আরও বেড়ে যাবে। ভারত আরও একবার কাশ্মীর ইস্যুতে জ্বালিয়ে দিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তাঁর দাবি, পাকিস্তানের ইচ্ছা ছিল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু ভারতের তেমন কোনও ইচ্ছা নেই।

কুরেশি আরও বলেন, ”নরেন্দ্র মোদী বিপজ্জনক খেলা খেলছেন। ওনার উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর।”

এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেছেন, ভারতে কাশ্মীর ৩৭০ আর্টিকল তুলে নেওয়া হয়েছে, এটা অন্যায়। এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

সোমবার রাজ্যসভায় আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

অমিত শাহের এই প্রস্তাবে উত্তাল রাজ্যসভা। কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্টেটাস’, আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়া হতে পারে, রাজ্যসভায় এই প্রস্তাবই দিয়েছেন অমিত শাহ। রবিবার থেকেই এই বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর মধ্যরাতে ওমর আব্দুল্লাদের গৃহবন্দি করার পর সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়।

এই স্টেটাস তুলে নেওয়া ছাড়াও আরও ঘোষণা করা হয়েছে যে কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করা হবে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং আরেকটি লাদাখ।

রবিবার মধ্যরাতে হঠাত করেই গৃহবন্দি করা হল দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। শুধু তাই নয়, গৃহবন্দি হলেন প্রাক্তন বি‌ধায়ক সাজ্জাদ লোনও। গ্রেফতার সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি এবং কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ। হঠাত করে কেন এমন সিদ্ধান্ত সরকারের তা নিয়ে আরও জল্পনা-আতঙ্ক তৈরি হয়।

Bootstrap Image Preview