Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণধর্ষণের একদিন পরই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সেই প্রেমিক নিহত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০২ PM
আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পৃথক এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় প্রেমিকাকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে উপজেলার কালাদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম (২০) উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার পলাশতলী গ্রামের ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে মেয়েটিকে বেড়ানোর কথা বলে উপজেলার কুটিরা গ্রামে নিয়ে যায় প্রেমিক জহিরুল। সেখানে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তার দুই বন্ধু সাইদুল ও ফারুকের হাতে তুলে দেয় মেয়েটিকে।

ফারুক ও সাইদুল মেয়েটিকে একটি আখক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে জহিরুল ও তার বন্ধুরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায় সে। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনার পরদিন নির্যাতিতা কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে প্রেমিক জহিরুলসহ তিনজনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে ধর্ষণ মামলার আসামিরা উপজেলার কালাদহ ঈদগাঁ মাঠের সামনে অবস্থান করছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শটগানের গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জহিরুলকে একটি পাইপগানসহ গ্রেফতার করা হয়। গুলিবিদ্ধ জহিরুলকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জনি মিয়া (২৬)। তিনি শহরের পাটগুদাম এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

নিহত জনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী এবং তার বিরুদ্ধে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টহল টিম রাত পৌনে ১টার দিকে অভিযান চালায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ও ইট ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ সরকারি সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।

পরে ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী জনিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২শ গ্রাম হেরোইন ও একটি স্টিলের চাকু উদ্ধার করে।

এছাড়া হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোলেমান নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোলেমান মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের উপর আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে সোলেমান গুরুতর আহত হয়। এ সময় তার অন্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।

সোলেমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত ৪ পুলিশ সদস্যকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview