বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণচেষ্টার ভিডিও ধারণের দায়ে মো. রুবেল হাওলাদার (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের মেয়ে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক শাখার ছাত্রী (১৮)।
৩১ জুলাই বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে গুয়াতলা রাস্তায় একটি ক্যাবল ডিশ লাইনের অফিসে ধরে নিয়ে যায় ডিশ ব্যবসায়ী ভাষান্দল গ্রামের বারেক হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (২৮) ও তার সহযোগী একই গ্রামের পলাশ হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার (২২)।
এ সময় ওই ছাত্রীকে চিৎকার না করার জন্য চর থাপ্পর মেরে মুখ বেঁধে শরীরের বিভিন্নস্থানে অমানষিক নির্যাতন করে। ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সোহেল।
এসব দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তার সহযোগী রুবেল হাওলাদার। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে এক পর্যায় সোহেলের কথা অনুযায়ী বিযের প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেয়া হয় নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রীকে।
ওই সময় ওই ছাত্রীকে জোর করে তিনটি লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানোর চেষ্টা করে বলে সে জানায়। এর পরই ওই ছাত্রী বাড়িতে তার মাকে এ সব ঘটনা খুলে বলে।
পরদিন বৃহস্পতিবার নির্যাতিত ছাত্রীর মা সোহেল হাওলাদার ও রুবেল হাওলাদারের নাম উল্লেখ করে থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত রুবেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানান, কলেজছাত্রীর ওপর নির্যাতনের বিষয়টি সঠিক। ওই ছাত্রীর মা ঘটনাটি তাকে জানানোর পরে তিনি এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন সোহেল ও রুবেল দু’জনই উশৃঙ্খল প্রকৃতির।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, কলেজছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সহযোগী রুবেল হাওলাদারকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলহোতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।