যেসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সেসব জেলায় মানুষজন নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ টি জেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৯ হেক্টর বা ১৫ শতাংশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ২৮৮টি স্কুল-কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, বন্যায় দুই হাজার ১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুড়িগ্রামে ৬৮৪টি, জামালপুরে ২৩৯টি, লালমনিরহাটে ২০৩টি, গাইবান্ধায় ১৭৪টি, মৌলভীবাজারে ১৬০টি, রংপুরে ১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় চাল, নগদ অর্থ, শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলায় ১১টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১ লাখ ৮৫ হাজার ৮শ ১৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাঁদপুর জেলার একটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ১৫০ টি পরিবার। জেলায় মোট ২শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলায় ১৫৪টি পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলায় ৬টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জেলার মানুষের জন্য ৩৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাদারীপুর জেলায় ৪৮৫টি পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টাঙ্গাইলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি উপজেলা। এই জেলার ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৭ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মানুষের জন্য ৭শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলায় ৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার ৪ লাখ ৫ হাজার ৯শ ২০ টি পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মানুষের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিকটন চাল।
ফরিদপুরে চারটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৩৪ জন সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজবাড়ী জেলায় পাঁচটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
যে ১৩ টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা, লালমনিরহাট, নীলফামারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।