ছেলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখতে চেয়েছিলেন মা। তাই ইমোতে ভিডিও কলে মায়ের সামনে স্ত্রীকে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী সেই কথা না শোনায় মুঠোফোন ভেঙে ফেলেন তার স্বামী। পরে সেই স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবন নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং এলাকার আমির হামজার মেয়ে জেসমিন আক্তারের (১৯) সঙ্গে লোহাগাড়ার আধুনগরের মো. ইউনুছের বিয়ে হয় সাত মাস আগে। জেসমিন এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বিয়ের পর জেসমিনের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন পরিবহণের গাড়ি চালান ইউনুছ। তাদের সেই সুখের সংসার হঠাৎ তছনছ হয়ে গেছে। তুচ্ছ ঘটনায় জেসমিন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার সদস্যদের বরাত দিয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম বলেন, ইউনুছের বিয়ের পর সাত মাস কেটে গেলেও তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা স্ত্রী জেসমিনকে দেখেনি। ছেলের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা শুনে ইমো ভিডিওতে তাকে দেখতে চান ইউনুছের মা।
মায়ের এ আবদার মেটাতে ইউনুছ আজ সকাল ১০টায় স্ত্রী জেসমিনকে ভালো কাপড় পরে আসতে বলেন। এ অনুরোধে সাড়া দেননি তিনি। এতে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলে ইউনুছ ঘরের বাইরে চলে যান।
এ ঘটনায় স্বামীর ওপর অভিমান ও ক্ষোভে দুপুর ১টার দিকে ঘরের বীমে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জেসমিন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জেসমিনের আত্মহত্যা নিয়ে কোনো পক্ষের অভিযোগ নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যান মিরানও পুলিশকে জানিয়েছে, এটি আত্মহত্যা।
তাই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।