Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাছ ধরতে এসে হয়ে গেলেন ‘ছেলে ধরা’, খেলেন গণপিটুনি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৫ PM
আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নওগাঁর মান্দায় ছেলে ধরা সন্দেহে ছয়জন মৎস্যজীবী গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কুসম্বা ইউনিয়নের বুড়িদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এরা হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার খাগড়া গ্রামের ছকিমুদ্দীনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭) রফাত আলী মন্ডলের ছেলে তাসলাম হোসেন (২৩), ভোলা মন্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), মোবারক আকন্দের ছেলে আব্দুল মজিদ আকন্দ (৩৭) ও মনসের আলীর ছেলে আনিসুর রহমান (২৭) এবং ফারাদপুর গ্রামের মন্টুর ছেলে রেজাউল করিম (২৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোট মাছ ধরার জন্য পুকুর মালিক সনজিত চৌধুরী ছয়জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে আসেন। চুক্তি ছিল পুকুর মালিক নেবেন মাছের ৭০ শতাংশ এবং মৎস্যজীবীরা ৩০ শতাংশ। এ শর্তে সকাল থেকে ছয়জন মৎস্যজীবী পুকুরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় মৎস্যজীবীরা বেশ কয়েকটি বড় কাতল মাছ গোপনে বস্তার মধ্যে রেখে দেন।

পরে পুকুর মালিক বিষয়টি বুঝতে পারেন। সনজিত চৌধুরী বস্তা দেখতে চাইলে মৎস্যজীবীরা দেখাতে রাজি হচ্ছিলেন না। এক সময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। এলাকার লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে চিৎকার দিয়ে তাদের ধরে গণপিটুনি দেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ছেলেধরা বিষয়টি গুজব। বাস্তবে তারা নিরীহ মৎস্যজীবী। মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। মাছ শিকারের জালসহ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

Bootstrap Image Preview