মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করেছেন বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহা। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহল থেকে শুরু করে দেশের সকল মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার নিজের ফেসবুক পেইজে এ বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ঐক্য পরিষদের উচিত তাকে অবিলম্বে বহিস্কার করা ও তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটা জিনিস বলি সবিনয়ো এ পরিষদে মুসলমানদের রাখলে সমস্যা কি? এর নাম মুসলিম-হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ হলে এটি আরো অসাম্প্রদায়িক শোনায় না?’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
প্রিয়া সাহার এ বক্তব্য নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।