Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিন্নির বাবার আত্মহত্যার হুমকি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৫:২৬ PM
আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৫:২৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকে রাজনৈতিক নোংরা খেলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর। তার মেয়ের কিছু হলে তিনি আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

শনিবার বরগুনা শহরের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিন্নির বাবা বলেন, ‘দেশবাসী শুনে রাখেন, আমার মেয়ের কিছু হলে আমি আত্মহত্যা করমু। আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মিন্নি নির্দোষ।’

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনীতির নোংরা খেলা শুরু হয়েছে এমন অভিযোগ করে মোজাম্মেলন বলেন, ‘প্রশাসনের লোকেরা শোনেন, আপনারা সঠিক তদন্ত করেন তাহলে রিফাত হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’

মিন্নির বাবা বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ দেখেছেন আমার মেয়ে কীভাবে তার স্বামীকে রক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করেছে। একটি প্রভাবশালী মহল আমার মেয়েকে ফাঁসিয়ে খুনিদের আড়াল করতে চাইছে।’

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকরি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় স্ত্রী মিন্নিও পাশেই ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রথম দিকে মিন্নি অনেকটা ভাবলেশহীন ছিলেন। পরে অবশ্য রিফাতকে যখন কোপানো শুরু করে সন্ত্রাসীরা তখন তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে মিন্নির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় গত মঙ্গলবার রাতে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এর আগে দিনভর তাকে পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার আদালতে হাজির করে মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এদিন তার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview