Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর যমুনা নদীর পানি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯, ০২:০২ PM
আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ০২:০২ PM

bdmorning Image Preview


বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তার প্রভাব পড়েছে পদ্মা নদীতেও। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পদ্মায় বাড়ছে প্রচণ্ড স্রোত। 

আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির স্তর পরিমাপক ফারুক হোসেন।  

এ ছাড়া যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে এসব এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে যমুনার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন শাখা নদ নদীগুলোতে। যার ফলে কয়েকদিনের মধ্যে বন্যার সম্ভাবনা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে তীব্র স্রোতে ও নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও দুই শতাধিক বাস। তিন থেকে চার ঘণ্টার অপেক্ষায় বাসগুলো নৌরুট পারাপারের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাক চালকেরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি রয়েছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি নিয়মিতভাবে চলাচল করতে পারছে না। অপরদিকে নদী পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ।

তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নৌরুটের বহরে বড় আরও কয়েকটি ফেরি যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও নৌরুট পারাপারের ভোগান্তি লাঘব হবে বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশসাক বাবুল মিয়া জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনকবলিত মানুষের মধ্যে ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কয়েক টন চাল ও শুকনা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview