Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইঞ্জিনে পাখির বাসা, ডিম ফোটার অপেক্ষায় দেড় মাস ট্রাক চালাননি চালক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪৮ PM
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঈদের ছুটিতে বাড়ির আঙিনায় ট্রাকটি রেখে দিয়েছিলেন এর চালক। এর মধ্যেই ট্রাকের ইঞ্জিনের কেবিনের পেছনে বাসা বাঁধে এক পাখি। সেখানে ডিমও পারে পাখিটি। তবে পরবর্তী ঘটনা আরও বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার নিকটবর্তী এক শহর এ ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির ডেইলি সাবাহ জানায়, ট্রাকটিই একমাত্র আয়ের উৎস আসাগি কাভুদরে শহরের বাসিন্দা বাহাতিন গুরসির। শহরটি থেকে বড় শহরগুলোতে মালামাল পরিবহন করেন তিনি।

ঈদের ছুটিতে বাড়ির আঙিনায় ট্রাকটি পার্ক করে রেখেছিলেন বাহাতিন। ছুটি শেষে ট্রাকটি নিয়ে বের হতে গিয়ে দেখেন ইঞ্জিন কেবিনের পেছনে বাসা বেঁধেছে একটি পাখি। তাতে কয়েকটি ডিমও রয়েছে। তখন মা পাখিটিকে দেখতে পেলেন না তিনি।

এমন মুহূর্তে ট্রাকচালক বাহাতিন ভাবলেন, ট্রাক স্টার্ট দিলে ইঞ্জিনের ঝাঁকুনিতে ডিমগুলো ভেঙে যাবে। পরে মা পাখিটা এসে বাসা আর ডিমের খোঁজে অস্থির হয়ে যেতে পারে।

এমন ঘটনায় বেশ চিন্তায় পড়ে যান ৪২ বছর বয়সী বাহাতিন। একমাত্র আয়ের উৎস হওয়ায় ট্রাকটি নিয়ে তিনি বেরও হতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে এক আত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলেন, ডিম ফুটে বাচ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকটি স্টার্ট করবেন না তিনি।

এভাবে ৪৫ দিন কেটে যায়। এ সময়ে বাড়ির শিশুরা যাতে পাখিটিকে কোনো রকম বিরক্ত না করে সে বিষয়ে নজর রাখতেন বাহাতিন। অবশেষে সেই বাসায় তিনটি ডিম ফুটে বের হয় তিনটি বাচ্চা। বাচ্চাদের নিয়ে মা পাখিটি উড়ে গেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন বাহাতিন। সেই সঙ্গে আনন্দও স্পর্শ করে যায় তার মধ্যে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনা দারুণভাবে আলোড়ন করে। এমন পাখিপ্রেমে দেশজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন বাহাতিন।

এই ট্রাকচালক বলেন, “সোমবার (১৫ জুলাই) বাচ্চাদের নিয়ে উড়ে গেছে পাখিটা। দেড় মাস পর প্রথমবারের মতো আমি ট্রাক স্টার্ট দিলাম।”

এ ঘটনায় তিনি আরও বলেন, “অনেকেই ট্রাক ভাড়া নিয়ে ফিরে গিয়েছিল। এবার আমি আবার আয় করতে পারব। আমি খুব খুশি।”

বাহাতিনের প্রতি ছেলেমেয়েদেরও উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তার ছোট মেয়ে আয়সিমা পাখিগুলো ধন্যবাদ জানিয়েছে, এত দিন তার বাবাকে কাছে রাখার জন্য। সে বলে, “ওরা বাসা না বানালে একসঙ্গে এত দিন বাবাকে কাছে পেতাম না আমি। এতে আমি খুব খুশি। বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসি।”

Bootstrap Image Preview