Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাঙ্গাইলে ক্রমশ বাড়ছে বন্যার পানি, দুর্ভোগে ৫ উপজেলার ১৮ হাজার পরিবার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০১:৪৫ PM
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০১:৪৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলের প্রায় সবকয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ৫টি উপজেলার নদী তীরবর্তী ২২টি ইউনিয়নের প্রায় ১০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এছাড়াও এসব গ্রামের রাস্তা এবং ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ গ্রাম তলিয়ে গেছে পানিতে। এ নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন কয়েকশ পরিবার। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি পরিবারগুলোর অনেকেই এখন গরু-ছাগল ও পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধ ও উঁচু বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রতিটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ২২ ইউনিয়নের প্রায় ১০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর এবং টাঙ্গাইল সদর। এই উপজেলার নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের মানুষগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়াসহ রয়েছেন ভাঙন আতঙ্কে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন জানান, জেলার ৫টি উপজেলার ২২ ইউনিয়নের প্রায় ১০৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া যায়নি। বন্যা কবলিতদের সাহায্যার্থে ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়াও আরও তিনশ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview