বগুড়ার পূর্ব ও দক্ষিন পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদী গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, এ যেনো গ্রাম নয় অথয় সাগর আর সেই সাগরের পানিতে ভাসছে প্রায় ৬শ’র বেশি গ্রাম। প্রায় ৯ হাজার হেক্টরের বেশি ফসল পানির নিচে।
সোমবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আরও অন্তত ৩ দিন পানি বৃদ্ধির চলমান হার অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বন্যার কবলে পড়া তিন উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়ার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত শনিবার বেলা ১২টায় চলতি মৌসুমে বগুড়ায় প্রথম বিপদসীমা অতিক্রম করে যমুনা নদীর পানি।
পাশাপাশি বাঙালী নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।এই দুই নদীর পানি বৃদ্ধিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের মোট ২৯ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। তিন উপজেলায় বন্ধ হয়ে গেছে ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম।
পাট, আউশ ধান, মরিচ, আমন বীজতলা ও বিভিন্ন সবজির প্রায় ৯হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এছাড়া এবারের বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় বিভিন্ন মৎস্যখামারের প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত ) রায়হানা ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন , পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বড় দুর্যোগের শঙ্কা এখনো নেই বন্যাকবলিত এলাকায়।
এই ৩ উপজেলাকে রক্ষায় নির্মাণ করা ৪৫ কিলোমিটার নদীতীররক্ষা বাঁধ সুরক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যহত আছে।